মালয়েশিয়া জাতীয় মসজিদ (মালয়: মসজিদ নেগারা মালয়েশিয়া, مسجد نارارا مليسيا) মসজিদটি মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে অবস্থিত। মসজিদটির ধারন ক্ষমতা আছে ১৫,০০০ মানুষ এবং এটি ১৩ একর ভূমির উপর নির্মিত (৫৩,০০০ মি ২) এবং একটি সুন্দর বাগান আছে। মসজিদটির মূল কাঠামোটি পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের তিনজন ব্যক্তি: ইউকে স্থপতি হাওয়ার্ড অ্যাশলি এবং মালয়েশীয়দের হিশাম আলবকরি ও বাহারুদ্দিন কাসিমের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে ভেয়েনিং রোড ব্রাদার্স গসপেল হল এলাকায় মসজিদটি নির্মিত হয়। ১৯২২ সালে মসজিদটি মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল এবং সেখানে থেকে অদ্যবদি প্রতিষ্ঠিত। মসজিদটি শক্তিশালী এবং আধুনিক পদ্ধতিতে স্টীলের পাত, লোহার রড ইত্যাদি বসিয়ে আরো মজবুত করে তৈরি করা হয়েছে, তারপর মসজিদটি নতুন স্বেচ্ছাসেবী মালয়েশিয়াানদের আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
মসজিদটির প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে অন্যতম হল ৭৩ মিটার উচ্চ মিনার বা গম্বুজ এবং একটি ১৬ খন্ড তারকাখচিত কংক্রিটের সমন্বয়ে ছাদ রয়েছে। বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রধান ছাদ যা একটি খোলা ছাতা এর স্মারক, মিনারের একটি মসৃন আবরণ, ছাতা বিশিষ্ট নকশা। প্রধান ছাদটির আবদ্ধ প্লেটগুলি মূল সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় বৃহৎ স্প্যান্স অর্জনের একটি সৃজনশীল সমাধান। কম্পাউন্ড জুড়ে ছড়িয়ে পড়া পুল এবং ফোয়ারা প্রতিফলিত হয়।
১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট মালয়ায় ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা লাভ করে। নতুন সরকার ব্যবস্থার সাথে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। নতুন প্রগতিশীল সংস্কৃতি তুলে ধরা এবং গণতন্ত্র অর্জনের জন্য এই অনুষ্ঠানগুলি ছিল অন্যতম। অতএব, ১৯৫৭ সালের ৩০ জুলাই ফেডারেল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে একটি জাতীয় মসজিদ নির্মাণের ধারণাটি বিনির্মাণ করা হয়। ১৯৫৮ সালের ৫ মার্চ অন্য একটি সভায়, মালয় ফেডারেশন-এর এগারো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্ব করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকৃতিস্বরূপ মসজিদের নাম তৌকু আবদুল রহমান পুতুল আল-হাজ করার একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়।
মসজিদটির প্রধান সংস্কার হয় ১৯৮৭ সালে এবং গোলাপি কংক্রিটের ছাদটি এখন সবুজ ও নীল টাইলস পরিবর্তিত। মসজিদ নেগারা এতটা চাকচিক্য এবং মসৃণ যা কুয়ালালামপুর নীল আকাশকে হার মানায়। জালান সুলতান হিশামুদ্দিনের পাশে রেল স্টেশন এর এতটাই কাছে মসজিদটি নির্মিত যেখান থেকে পায়ে হেটে মসজিদের অভ্যন্তরে যাওয়া যায়। মসজিদটির অনন্য আধুনিকতার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নকশা এবং ইসলামী শিল্পকলার একটি সমকালীন নিদর্শন।
মসজিদ নেগ্রারা ২৭ আগস্ট ২০১৫ তারিখে, তার সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০ তম বার্ষিকী) উদযাপন করে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে সম্পর্কিত মিডিয়া