পিনাকোথেক ডের মর্ডান( জার্মান: ] , আধুনিক পিনাকোথেক) হলো কুন্সতারিয়াল মিউনিখের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি অাধুনিক শিল্প জাদুঘর। স্থানীয়রা এটিকে অনেক সময় দ্রিত্তে (তৃতীয়) পিনাকোথেক বলে থাকে। কারণ এটি নতুন এবং পুরাতন পিনাকোথেকের পর তৈরি করা হয়। এটি আধুনিক শিল্পের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর একটি।[]
পিনাকোথেক ডের মডার্ন নকশা করেছেন জার্মানির স্থাপত্যশিল্পী স্টিফেন ব্রাউনফেলস। দীর্ঘ ৭বছর নির্মাণের পর ২০০২সালের সেপ্টেম্বের এর অভিষেক ঘটে। ২২,০০০বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই ভবন নির্মাণে খরচ হয় $১২০মিলিয়ন। নকশা এবং খরচ সম্পর্কিত আপত্তির কারণে এই ভবন নির্মাণেে প্রায় এক দশক দেগপ যায়। জাদুঘরটি শিল্প, স্থাপত্য, নকশা এবং কাগজের কাজের মাধ্যমে বিভক্ত।
প্রথম তলার শিল্প সংগ্রহে, উপর থেকে প্রাকৃতিক আলো আসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া, কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত লাইটও রয়েছে যা ছাই রঙের মেঝে ও সাদা দেয়ালের মাঝে ছায়াবিহীন পরিবেশের সৃষ্টি করে।
আধুনিক শিল্পকলার সংগ্রহশালা ১৯২৫সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ৭০,০০০ শৈল্পিক নকশা এবং গ্রাফিক নকশা নিয়ে নতুন স্যামলুঙ্গ বর্তমানে ২০শতকের পৃথিবীর এক অন্যতম জাদুঘর এবং এটি শৈল্পিক নকশার সবচেয়ে বড় জাদুঘরের একটি। সংগ্রহের বাড়তি অংশ পিনাকোথেক ডের মর্ডানের নিচ তলায় প্রদর্শিত হয়। তাছাড়া, এখানে যানবাহন নকশা, কম্পিউটারের সংস্কৃতি ও প্রদর্শিত হয়।
কাগজের কাজের মূল রয়েছে উইটেলসবাচ সংগ্রহশালাতে, বিশেষ করে চার্লস থিয়োডোর (বাভারিয়ার নির্বাচক) এর ছাপা কক্ষের সংগ্রহশালাতে। নিচ তলায় জার্মানির কাগজের কাজের গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরোনো জার্মান, ডাচ এবং ইতালিয়ান চিত্রাঙ্কন (যাদের মধ্যে রয়েছে আলবৃরেকট দুরের, রেমব্রান্ট, মিশেলাঙ্গেলো এবং লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির কাজ) এবং ১৯-২১শতকের আন্তর্জাতিক চিত্রাঙ্কন। যেমনঃ পল সিজান্নে, হেনরি মাতিস্সে, পল ক্লি এবং ডেভিড হকনে।
বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডউইগ এর সাহায্যে মিউনিখ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরটি ১৮৬৮সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এটি বর্তমানে জার্মানিতে সবচেয়ে বড় জাদুঘর। এই জাদুঘরটি ১ম তলায় প্রদর্শনী দেখায়। এর সংগ্রহশালায় প্রধানত চিত্র, ছবি, নকশা, কম্পিউটার এনিমেশন এবং বিখ্যাত স্থাপত্যবিদদের কাজকে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।