চেঙ্গিজ খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মঙ্গোলীয়: Чингис хаан олон улсын нисэх буудал, Çingis hán olon ulsîn niseh búdal, আইপিএ: ]) (আইএটিএ: ULN, আইসিএও: ZMUB) মঙ্গোলিয়ার রাজধানী থেকে ১৮ কিমি (১১ মা) দক্ষিণ পশ্চিমে উলানবাটরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি দেশটির বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমান সুবিধা।
বুয়ান্ত উখা বিমানবন্দর (মঙ্গোলীয়: Буянт-Ухаа нисэх онгоцны төв буудал, Buyant-Uhá niseh onğocnî töw búdal) নামে এই বিমানবন্দরটি ১৯৫৭ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইর্কউতস্ক এবং চীনের বেইজিংগামী ইলসিয়ুসিন ২-১৪ বিমান উড্ডয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অবশ্য, মুলত ১৯৬১ সাল থেকে নিয়মিত বিমান উড্ডয়ন শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে বিমানবন্দরটির টার্মিনাল আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়নের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সালে আইসিএও মান সঙ্গে বিমানবন্দরটির অনুবর্তী করতে ধরণের সংস্কার চালানো হয়।
মঙ্গোলিয়ার বীর চেঙ্গিজ খান কর্তৃক মঙ্গোলিয়ার ৮০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২১শে ডিসেম্বর ২০০৫ সালে বিমানবন্দরটির নাম চেঙ্গিজ খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হয়।
২০১৯ সালে খোসিগত ভ্যালে বিমানবন্দর দ্বারা এই বিমানবন্দর প্রতিস্থাপিতহবে বলে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বর্তমান বিমানবন্দরের কার্যক্রম সংক্ষিপ্তাকারে কিছুটা পরিচালিত হচ্ছে। একটি রানওয়েরই এক পাশে আগত বিমানের জন্য এবং অপর পাশটি বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়া বিমান উড্ডয়নের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। নতুন খোসিগত ভ্যালে এই বিমানবন্দরটি অপেক্ষাকৃত বৃহদাকৃতির হতে যাচ্ছে। এটি উলাবাটর শহরের কেন্দ্র থেকে ৫২ কিলোমিটার (৩২ মা) দক্ষিণে খোসিগত ভ্যালিতে অবস্থিত। চেক প্রজাতন্ত্র এই বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজে সহায়তা করেছে।
মঙ্গোলিয়ার সিভিল এভিয়েশনের সূত্রমতে, চেঙ্গিজ খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সবচেয়ে বেশী বিমান উড্ডয়ন করে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন ও সউলের উদ্দেশ্যে। এরপরেই যথাক্রমে আছে চীনের বেইজিং ও রাশিয়ার মস্কো। এছাড়াও ইউরোপের দেশ জার্মানির বার্লিন ও তুরস্কের ইস্তানবুলের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে যথাক্রমে ১৪,৩৫২ জন এবং ৩১,৫২৫ জন যাত্রী চেঙ্গিজ খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করেছিল। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে খান বুমবাত বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিমান উড্ডয়ন হয়।
বার্ষিক ট্রাফিকযাত্রী | পরিবর্তন | গতিবিধি | কার্গো (টন) |
পরিবর্তন | |
---|---|---|---|---|---|
২০০৭ | ৫৯৯,৫৫৫ | +৯.৬% | ৯,২৯৭ | ৩,২৯৯ | +১১.২% |
২০০৮ | ৫৯৬,৭৬৫ | -০.৫% | ৯,৫৫২ | ৩,৫০০ | +২.৭% |
২০০৯ | ৫৩২,৮৬১ | -১০.৭% | ৮,৩৩০ | ২,৯৭০ | -১২.৮% |
২০১০ | ৬৬৫,০৫৫ | +২৪.৮% | ১১,৬৭৮ | ৩,৯২২ | +৪০.২% |
২০১১ | ৮৮৫,৮৮৫ | +৩৩.২% | ১৪,৯৪০ | ৫,৫৪৫ | +২৭.৯% |
২০১২ | ১,০৯৮,৮৬৫ | +২৪.০% | ১৭,৪৬৫ | ৫,৭০৯ | +১৬.৯% |
২০১৩ | ১,১০৬,৭০৪ | +০.৭% | ১৬,৪৬৮ | ৫,৮২৫ | -৫.৭% |
২০১৪ | ১,০১৯,১০২ | -৭.৯% | ১৩,১৭৮ | ৪,৯৫৫ | -২০.০% |
২০১৫ | ৯৫৫,৮৬৭ | -6.2% | ১০,৯৮৫ | ৪,৭১০ | -৪.৯% |
২০১৬ | ১,০২৩,০৪৫ | +7.0% | ১১,৬৮২ | ৪,৮৫২ | +৩.০% |
উৎস: মঙ্গোলিয়ার সিভিল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন |
বিমানবন্দরের প্রধান ভবনে অ্যারো মঙ্গোলিয়ার প্রধান অফিস রয়েছে। এছাড়াও মঙ্গোলিয়ার বিমান দূর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রধান অফিস বিমানবন্দরেই অবস্থিত। বিমানবন্দরটিতে একটি কার্গো হ্যাংগারও রয়েছে।