পুরনো পিনাকোথেক ( জার্মান: ] , আলটে পিনাকোথেক) জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের মিউনিখ শহরের কুন্সতারিয়ালে অবস্থিত শিল্পকলা জাদুঘর। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো গ্যালারিগুলির একটি এবং এতে অসাধারণ পুরাতন চিত্রকলা সংরক্ষিত রয়েছে। আল্টে (পুরনো) পিনাকোথেক নাম দ্বারা ১৪-১৮ শতকের সময়কালকে বুঝানো হয়েছে। নতুন পিনাকোথেক, ১৯৮১ সালে পুনরায় তৈরি করা হয়, যা ১৯ শতকের শিল্প প্রদর্শন করে এবং পিনাকোথেক ডের মর্ডান, ২০০২ সালে খোলা হয়, যা আধুনিক শিল্প প্রদর্শন করে। এই তিনটি গ্যালারি বাভারিয়া প্রদেশের চিত্রকর্ম সংগ্রহশালার অন্তর্ভুক্ত, যেটি বাভারিয়া রাজ্যের একটি সংগঠন।
বাভারিয়া রাজা প্রথম লুডউইগ ১৮২৬সালে উইটেলসবাচ সংগ্রহের জন্য লিও ভন ক্লেঞ্জেকে নতুন একটি দালান নির্মাণের আদেশ দেন। আলটে পিনাকোথেক ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাদুঘর। এমনকি পিনাকোথেকের বাহ্যিক রুপ ১৯শতকের অন্যান্য প্রাসাদের মতো দেখতে জাদুঘরগুলোর থেকে অনেক আলাদা ছিল। এটা তখনকার সময়কার খুবই আধুনিক একটি দালান ছিল। যার কারণে বিভিন্ন গ্যালারীর জন্য এটি অনুকরণীয় ছিল।
উইলহেম ৪র্থ উইটেলবাচ সংগ্রহের শুরু করেন, যিনি চিত্রশিল্পীদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক চিত্রকলা তৈরি আদেশ দেন। এগুলো মাঝে ছিল আলব্রেকট আল্টডরফার এর দ্যা ব্যাটেল অব আলেক্সান্ডার এট ইসাস।
রাজা প্রথম লুডউইগের পর জাদুঘরে নতুন শিল্প আসা প্রায় বনৃধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র ১৮৭৫সাল থেকে পরিচালক ফ্র্যাঞ্জ ভন রেবার এবং হুগো ভন সুদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নতুন শিল্প যু্ক্ত করেন। যেমন; লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির মাদোন্না অফ দ্যা কারনেশনএবং এল গ্রেসোর দ্যা ডিসরোবিং অব ক্রিস্ট।
১৯৮৮সালের এপ্রিলে, চারুকলা ধ্বংসকারী হান্স-জোয়াচুম বোলমান আলব্রেকট দূরের এর তিনটি চিত্রকলাতে এসিড নিক্ষেপ করে। যেগুলোর নাম হলো: লেমেন্টেশন ফর ক্রিস্ট, পোমগার্টনার আল্টার এবং ম্যাটার ডোলারোজা। এতে প্রায় ৩৫মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়।
এই জাদুঘরটি বাভারিয়ান রাজ্য চিত্রকলা সংগ্রহশালার অধীনস্থ, যেটির সংগ্রহেও ১৩-১৮শতকের অনেক ইউরোপীয় চিত্রকলা রয়েছে। বিশেষ করে এটিতে যে পূর্ব ইতালি, পুরোনো জার্মান, পুরোনো ডাচ এবং ফ্লেমিশের চিত্রকলা রয়েছে তা পৃথিবীর ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীীয়।
এরকম প্রায় ৮০০চিত্র পুরোনো পিনাকোথেকে প্রদর্শন করা হয়। ২০১৪-২০১৭ সালে জাদুঘরটির কিছু শাখা মেরামতের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
নির্বাচিত চিত্রঃ