হ্যালাব্রুন চিড়িয়াখানা (জার্মান: Tierpark Hellabrunn) জার্মানির বাভারিয়ায়র রাজধানী মিউনিখের ৪০ হেক্টর (৯৯ একর) স্থানে বিস্তৃত একটি প্রাণিবিদ্যাগত উদ্যান। চিড়িয়াখানাটি ইসার নদীর দক্ষিণ (ডান) তীরে মিউনিখের দক্ষিণে থালকিচানের নিকট অবস্থিত।
এটি বিশ্বের প্রথম চিড়িয়াখানার যা শুধু প্রজাতি দ্বারাই সংগঠিত না বরং ভৌগলিক দিক থেকেও সুসংগঠিত। উদাহরণস্বরূপ, উড বাইসনরা তাদের স্থান প্রিয়ার কুকুরদের সাথে ভাগ করে।
২০১৩ সালে চিড়িয়াখানা ইউরোপে চতুর্থ সেরা চিড়িয়াখানায় স্থান পেয়েছিল (পূর্বে ১২তম স্থানে ছিলো। এটি বিরল প্রজাতীর ড্রিল এবং রূপালি গিবনদের সংরক্ষণ এবং বন্দী প্রজননের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এছাড়াও গরিলা, জিরাফ, হাতি, উড বাইসন, এল্ক এবং [সুমেরু শিয়াল]] এই চিড়িয়াখানায় সফলভাবে বংশবিস্তার করে। এটি অল্পসংখ্যক চিড়িয়াখানাগুলির মধ্যে একটি যেখানে দর্শনার্থীরা তাদের সঙ্গে কুকুর আনার অনুমতি পায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫ সালে মিউনিখ জুওলজিক্যাল গার্ডেন সোসাইটি (Verein Zoologischer Garten München e.V.) প্রতিষ্ঠিত হবার পর হ্যালাব্রুন এলাকাটি চিড়িয়াখানার অবস্থান হিসাবে নির্বাচন করা হয়। চিড়িয়াখানাটি স্থপতি ইমানুয়েল ফন সেডল কর্তৃক নকশাকৃত এবং ১৯১২ সালের ১ আগস্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
১৯২২ সালে জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে চিড়িয়াখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯২৩ সালের ২৩ মে পুনরায় চিড়িয়াখানাটি খোলা হয়। এটি বিশ্বের প্রথম ভূ-চিড়িয়াখানা হয়ে উঠেছিল (প্রাণীগুলিকে একই ভৌগলিক অঞ্চলের অন্যান্য প্রাণীদের সাথে দেখানো এবং রাখা হয়েছিল)।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনির বিমান হামলায় চিড়িয়াখানার ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৪৫ সালের মে মাসে পুনরায় চিড়িয়াখানাটি সক্রিয় করা হয়।
২০১৪ সালের হিসেবে, হ্যালাব্রুন ৭৬৭ প্রজাতির প্রায় ১৮,৯৪৩ প্রাণীর নিবাস। টিয়ারপার্ক হ্যালাব্রুন প্রজনন, পুনঃপ্রবর্তন এবং সংরক্ষণ প্রকল্পে খুব সক্রিয়।
এখানে ভূগর্ভস্থ জলের স্তরটি উচ্চতর এবং উৎকৃষ্ট মানের জলের কারণেই চিড়িয়াখানাটি নিজস্ব কূপগুলি ব্যবহার করে। ২০১২ সালে ২.২ মিলিয়নের অধিক মানুষ হ্যালাব্রুন পরিদর্শন করেছিল।