বিএমডব্লিউ জাদুঘর জার্মানির মিউনিখ শহরের অলিম্পিয়াপার্কের নিকট অবস্থিত স্বয়ংচালিত জাদুঘর। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের কিছুকাল পর, ১৯৭৩ সালে বিএমডব্লিউ-এর ইতিহাস প্রদর্শনের জন্য এটি নির্মিত হয়। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাদুঘরের বিপরীতে অবস্থিত বিএমডব্লিউ ভেট (বিশ্ব) নির্মাণের সময় জাদুঘর সংস্কারের জন্য কিছুসময বন্ধ রাখা হয়। ২০০৮ সালের ২১ জুন জাদুঘর পুনরায় চালু হয়।
এই জাদুঘরে কোম্পানির ইতিহাস জুড়ে বিএমডব্লিউর কারিগরি অগ্রগতি দেখানো হয়। এতে রয়েছে ইঞ্জিন, টার্বাইন, এয়ারক্রাফট, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন। বাস্তব মডেল ছাড়াও এখানে ভবিষ্যতসদৃশ মডেল এবং বিগত ২০ বছরের ধারণাসমূহ রয়েছে।
হেডফোন ও ক্লিভার, পরোক্ষ আলোর ব্যবহারের ফলে প্রদর্শনীতে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করে। এখানে কারিগরি অগ্রগতি ও আধুনিকতার উপকারীতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রদর্শনীর ধারণার সাথে ভবনের সমন্বয় দেখা যায়।
দর্শনার্থী সংখ্যার দিক থেকে ডয়েচেস জাদুঘর ও পিনাকোটেক ডের মডার্নের পরই এই জাদুঘরের অবস্থান। প্রতি বছর এখানে প্রায় ২,৫০,০০০ জন দর্শনার্থী আসেন।
বিএমডব্লিউ সদর দপ্তরের স্থপতি কার্ল সোয়ানজার ভবনটির নকশা প্রণয়ন করেন। প্রায় বৃত্তাকার ভিত্তিটি ২০ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট। এর ছাদ ৪০ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট। প্রথম তলায় এর প্রবেশপথ অবস্থিত এবং এখানে একটি ক্লোকরুম ও অভ্যর্থনা রয়েছে। দর্শনার্থীরা প্রদর্শনী দেখার জন্য একটি পেচানো সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে। ভবনের ভেতরে চতুর্থ আইল্যান্ডে স্লাইড শো রয়েছে। লুপিং-এর পরে দর্শকরা সবচেয়ে উপরের তলায় পৌছায়। এখানে পৃথক প্রদর্শনী, ছোট সিনেমা হল এবং প্রযুক্তিকে ব্যাখ্যা করার জন্য কয়েকটি আকর্ষণীয় প্রদর্শনী রয়েছে। একটি এস্কেলেটর এরপর দর্শকদেরকে নিচ তলায় নিয়ে আসে।
|