জেসাস ডে তাভার্যাঙ্গু (স্পেনীয়: Ruinas jesuíticas de Jesús y Trinidad) রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের যিশু সম্প্রদায়ভূক্ত ছোট গৃহ ছিল। বর্তমানে এটি প্যারাগুয়ের ইতাপুয়া ডিপার্টমেন্ট এলাকায় অবস্থিত। ধর্মীয় কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে পরিচালিত মিশন ভবনের ধ্বংসাবশেষ ত্রিনিদাদের সাথে একত্রে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ অনুমোদিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের সাথে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
১৬৮৫ সালে মানডে নদীর কাছে বর্তমানের আল্তো পারানা এলাকায় ‘রিডাসিও ডে জেসাস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ঐ মিশনটি বেশ কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ১৭৬০ সালে সর্বশেষবারের মতো বর্তমান জায়গায় নিয়ে আসা হয়। মিশনের অবকাঠামো পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করার পূর্বেই ১৭৬৭ সালে প্যারাগুয়ে থেকে রোমান ক্যাথলিকদের আদেশনামায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ইতালির লয়েলা সেন্ট ইগনাতিয়াস চার্চের অনুসরণে বিস্তৃত মিশন গির্জা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ঐ সময়ে এটি সর্ববৃহৎ গির্জার অন্যতম ছিল। তন্মধ্যে, মূল অবকাঠামোর আয়তন ছিল ৭০X২৪ মিটার বা ২৩০X৭৯ ফুট।
প্যারাগুয়েতে অবস্থিত জেসুইট ধ্বংসাবশেষ সম্ভবতঃ দক্ষিণ আমেরিকার সেরা সংরক্ষণাগার হিসেবে রয়েছে। এতে জেসাস, স্যান কসমে ওয়াই ড্যামিয়ান ও ত্রিনিদাদ মিশনও অন্তর্ভুক্ত আছে।
জেসাস ও ত্রিনিদাদের ধ্বংসাবশেষের মাঝ দিয়েই এনকার্নাসিওনের ৬ নম্বর রুট চলে গেছে। উভয় স্থানের প্রবেশদ্বারে প্রতীক চিহ্ন রয়েছে। জেসাস ডে তাভার্যাঙ্গুর ধ্বংসাবশেষে প্রবেশের জন্য শক্ত রাস্তা ব্যবহার করতে হয় যা এনকার্নাসিওন থেকে ‘কেএম ৩১’-এ অবস্থিত ত্রিনিদাদ থেকে ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত।
* অফেলিয়া হুপার