গোল্ডেন গেট ব্রিজ যা সোনালি দুয়ার হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় বস্তু। এই ব্রিজকে সানফ্রান্সিস্কোতে একতা আইকন প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এটা তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত লোকজন বিশ্বাস করত না যে এরকম ব্রিজ হবে। স্যানফ্রান্সিসকোর সঙ্গে মেরিন কান্ট্রির যোগাযোগব্যবস্থার আশ্চর্য নিদর্শন এই সেতুটি। ১৮ শতকের পরবর্তী সময়েও গোল্ডেন গেট পার হওয়ার একমাত্র উপায় ছিল ফেরি বা নিজস্ব নৌযোগাযোগ-ব্যবস্থা।
১৯১৬ সালে ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে এই সেতুটির প্রতি মনোযোগ দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংশি্লষ্ট বিভাগ সেতুটি নির্মাণের অনুমতি দেয়। নকশায় সেতুটির প্রধান স্তম্ভটি ৪০০২ ফুট করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ৫ জানুয়ারি ১৯৩৩ সালে। নানারকম সমস্যা কাটিয়ে প্রায় বাইশ বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলে। সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ২৭ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৩৭ সালে। তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভল্টে উদ্বোধন করেন। ২৭ মে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার আর প্রস্থ ২৭ দশমিক ৪০ মিটার (৯০ ফুট)। ছয় লেন-বিশষ্টি এই সেতুটি দিয়ে দৈনিক এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে।
বিভিন্ন জরিপের ফলাফল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আত্মহত্যার স্থান হিসেবে এক নম্বর স্থানটি দখল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর ঝুলন্ত সেতু ‘দ্য গোল্ডেন গেট ব্রিজ’।
যুক্তরাষ্ট্রের সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের মতে, আধুনিক বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি হলো দ্য গোল্ডেন গেট ব্রিজ। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয়েছে যে বিষয়গুলোর, তাদের অন্যতম এ সেতুটি। এই ব্রিজটি দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভিড় করে।
</div>